Raypedia

জীবনপঞ্জী
১৯২১: ২ মে
উত্তর কলকাতার গড়পার রোডে জন্ম। শুরুতে নাম দেওয়া হয় প্রসাদ। বাবা সুকুমার রায়,মা সুপ্রভা রায়।
১৯২৩:
জন্মদিনে নামকরণ অনুষ্ঠানে ‘প্রসাদ’-র বদলে রাখা হয় সত্যজিৎ।

১৯২৩: ১০ সেপ্টেম্বর
কালাজ্বরে মৃত্যু হয় সুকুমার রায়ের।
১৯২৫:
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত ‘ইউ রায় এন্ড সনস’ কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষিত হয়। কোম্পানির গুডউইল কিনে নেন করুণাবিন্দু বিশ্বাস।

১৯২৬:
গড়পার রোড থেকে সুপ্রভা দেবী সত্যজিৎকে নিয়ে চলে আসেন বেলতলা রোডে ভাই প্রশান্তকুমার দাসের বাড়িতে।
১৯৩০:
সাড়ে আট বছর বয়সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে।
১৯৩৬:
ফটোগ্রাফির জন্য ‘বয়েজ ওন পত্রিকা’র প্রথম পুরস্কার পান। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ।

ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে। সঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ।
১৯৪০:
স্নাতক হবার পর ১৩ জুলাই চলে যান শান্তিনিকেতনে। ভর্তি হন কলাভবনে।
১৯৪২:
সহপাঠীদের সঙ্গে সাঁচি, খাজুরাহ, অজন্তা ইলোরায় শিক্ষামূলক ভ্রমণ। প্রথম গল্প ‘অবস্ট্রাকশন’ (ইংরেজি) প্রকাশিত হয়। কলাভবনের পড়াশোনা শেষ না করেই ফিরে আসেন কলকাতায় ডিসেম্বর মাসে।
১৯৪৩:
এপ্রিল মাসে কলকাতায় ডি জে কিমার বিজ্ঞাপন সংস্থায় ভিস্যুয়ালাইজার পদে যোগ দেন। সিগনেট প্রেসের ডি কে গুপ্তের সঙ্গে পরিচয়। বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকা শুরু। ‘মৌচাক’ পত্রিকায় সত্যজিতের আঁকা ছবি প্রকাশিত।

১৯৪৪:
চিত্রনাট্য লেখা শুরু।
১৯৪৫:
‘আম আটির ভেঁপু’ বইটির অলঙ্করণ।

১৯৪৬:
‘ঘরে বাইরে’-র চিত্রনাট্য লেখেন। হরিসাধন দাশগুপ্তের ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল।
১৯৪৭: ৫ অক্টোবর
সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, হরিসাধন দাশগুপ্ত, বংশী চন্দ্র গুপ্ত, রাম হালদার মিলে গঠন করেন ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি।

১৯৪৮:
মা সুপ্রভা দেবীকে নিয়ে চলে যান লেক এভিনিউয়ের বাড়িতে। চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখালেখির সূত্রপাত। প্রথম লেখা ‘হোয়াট ইজ রং উইথ ইন্ডিয়ান ফিল্মস’। প্রকাশিত হয় দৈনিক দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায়। হরিসাধন দাশগুপ্ত পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপনের ছবির চিত্রনাট্য করেন সত্যজিৎ রায়। ছবির নাম ‘আ পারফেক্ট ডে’।
১৯৫০:
জঁ রেনোয়া কলকাতায় এসেছিলেন ‘দ্য রিভার’ ছবির কাজে। রেনোয়ার সঙ্গে পরিচয়। ‘রেনোয়া ইন ক্যালকাটা’ লেখাটি প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ পত্রিকা ‘সিকোয়েন্স’-এ। ডি জে কিমারের আর্ট ডিরেক্টর পদে উন্নীত। বিদেশ যাত্রা। বিলেতে গিয়ে প্রায় একশোটি চলচ্চিত্র দেখেন। প্যারিস এবং ভেনিসে সফর। ডি জে কিমার ছেড়ে যোগ দেন বেনসন্স এজেন্সিতে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রণ প্রদর্শনীতে ‘খাইখাই’ আর ‘অনন্যা’ গ্রন্থের প্রচ্ছদের জন্য পুরস্কৃত।
১৯৫১:
কলকাতায় আসেন রুশ পরিচালক ভি পুদভকিন এবং অভিনেতা চেরকাশভ। সত্যজিতের অনুরোধে ‘ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি’তে তাঁরা বক্তৃতা দেন। ‘পথের পাঁচালি’ চলচ্চিত্রায়িত করবেন বলে মনস্থ করেন।

১৯৫২:
‘পথের পাঁচালি’ ছবির শুটিং শুরু করেন অক্টোবর মাসে। মার্কিন চিত্রপরিচালক জন হিউস্টন কলকাতায় আসেন। তিনি ‘পথের পাঁচালি’-র রাশ প্রিন্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।
১৯৫৫:
নিউইয়র্ক মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে ‘পথের পাঁচালি’ প্রথম দেখানো হয়। কলকাতায় মুক্তি পায় ২৬ আগস্ট। ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে তরুণ সাহিত্যিকরা সত্যজিৎ এবং তাঁর শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংবর্ধনা জানান।
১৯৫৬:
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পথের পাঁচালি’ শ্রেষ্ঠ মানবিক আবেগসম্পন্ন চলচ্চিত্র হিসাবে সম্মান লাভ করে। ১১ অক্টোবর মুক্তি পায় সত্যজিতের দ্বিতীয় ছবি ‘অপরাজিত’।
১৯৫৭:
ভেনিস সফর। ২৩ সেপ্টেম্বর রনজি স্টেডিয়ামে সত্যজিৎ রায়কে নাগরিক সম্বর্ধনা।

১৯৫৮:
‘পরশ পাথর’ মুক্তি পেল ১৭ জানুয়ারি। ‘জলসাঘর’ ১০ অক্টোবর।
ব্রাসেলসে বিশ্বের সাতজন পরিচালকের দশটি সেরা ছবি নির্বাচন প্রতিযোগিতায় বিচারক।
১৯৫৯:
সঙ্গীত নাটক একাডেমির পুরস্কার লাভ। পান পদ্মশ্রী পুরস্কার।
১৯৫৯:
‘অপুর সংসার’ নির্মিত। মুক্তি ১ মে ১৯৫৯।
১৯৬০: ১৯ ফেব্রুয়ারি
মুক্তি পেল ‘দেবী’।

১৯৬০:
ভিয়েনা ফিল্মোৎসবের বিচারক।
১৯৬১:
নির্মাণ করলেন তথ্যচিত্র ‘রবীন্দ্রনাথ’। প্রযোজনা: ফিল্মস ডিভিশন, ভারত সরকার। ‘তিনকন্যা’ মুক্তি পেল ৫ মে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদনায় ‘সন্দেশ’ পত্রিকার পুনঃপ্রকাশ। বাংলা সাহিত্য রচনা শুরু করেন লিয়রের ছড়া অবলম্বনে প্রথম লেখা ‘পাপঙ্গুল’। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান।
১৯৬২:
‘অভিযান’ মুক্তি পেল ২৮ সেপ্টেম্বর।
১৯৬৩:
‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ মুক্তি পেল ১৯ মে। ‘মহানগর’ মুক্তি পেল ২৭ সেপ্টেম্বর। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের মতে, বিশ্বের সেরা এগারোজন চিত্রপরিচালকের মধ্যে অন্যতম।
১৯৬৪:
বার্লিন ও মস্কো সফর। ‘চারুলতা’ মুক্তি পেল ২৭ সেপ্টেম্বর।
১৯৬৫:
মুক্তি পেল ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ ৭ মে। নভেম্বর মাসে প্রথম বাংলা বই ‘প্রফেসর শঙ্কু’ প্রকাশিত। দিল্লিতে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি। পদ্মভূষণ সম্মান। প্রথম ফেলুদা সিরিজের গল্প প্রকাশিত ‘সন্দেশ’ পত্রিকায়।
১৯৬৬:
‘নায়ক’ মুক্তি পেল ৬ মে।

১৯৬৭:
‘চিড়িয়াখানা’ মুক্তি পেল ২৯ সেপ্টেম্বর।
১৯৬৯:
‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ মুক্তি পেল ৮ মে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম গোয়েন্দা গল্প ‘বাদশাহী আংটি’ প্রকাশিত। ‘ফেলুদা’র আত্মপ্রকাশ।
১৯৭০:
‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ মুক্তি পেল ১৬ জানুয়ারি। প্রতিদ্বন্দ্বী মুক্তি পেল ২৯ অক্টোবর।
১৯৭১:
নির্মাণ করলেন তথ্যচিত্র ‘সিকিম’। প্রযোজনা: সিকিমের রাজা। ‘সীমাবদ্ধ’ মুক্তি পেল ২৪ সেপ্টেম্বর।
১৯৭৩:
‘অশনি সংকেত’ মুক্তি পেল ১৫ আগস্ট।
১৯৭৪:
গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা’কে নিয়ে প্রথম ছবি ‘সোনার কেল্লা’ মুক্তি পেল ২৭ ডিসেম্বর। প্রযোজনা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তথ্যচিত্র ‘দি ইনার আই’ নির্মাণ। প্রযোজনা: ফিল্মস ডিভিশন, ভারত সরকার।
১৯৭৬:
‘জনঅরণ্য’ মুক্তি পেল ২০ ফেব্রুয়ারি। বিখ্যাত ভারতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীর জীবনী নিয়ে নির্মাণ করলেন তথ্যচিত্র ‘বালা’। প্রযোজনা: ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস, বোম্বাই ও তামিলনাডু সরকার।
১৯৭৮:
পরিচালনা করলেন ‘শতরঞ্চ কি খিলাড়ি’। মুক্তি ২৯ সেপ্টেম্বর।

১৯৭৯:
‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ নির্মিত। প্রযোজনা: আর ডি বনশল। মুক্তি ৫ জানুয়ারি।
১৯৮০:
‘হীরক রাজার দেশে’ মুক্তি পেল ১৯ ডিসেম্বর। প্রযোজনা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ‘পথের পাঁচালি’-র পঁচিশ বছর উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের ডি এ ভি পি- র উদ্যোগে বছরব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর উদ্বোধন ব্যাঙ্গালোরে।
১৯৮২: ২৫ এপ্রিল
‘সদ্গতি’ ছবিটি দিয়ে ভারতীয় দূরদর্শনে রঙিন ছবি সম্প্রচার শুরু। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম বিচারক।
১৯৮৩:
নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট-এ ফিল্ম ইন্ডিয়া উৎসবের প্রথম পর্যায়ে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী।
১ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত।
১৯৮৪: ১২ জুন
চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯ জুন হিউস্টনে বিশ্ববিখ্যাত লিউকস হাসপাতালে বাইপাস হার্ট অপারেশন। ‘ঘরে বাইরে’ মুক্তি পেল ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ (লন্ডন)। ৪ জানুয়ার, ১৯৮৫ (কলকাতা)। প্রযোজনা: এন এফ ডি সি।

১৯৮৭:
নির্মাণ করলেন তথ্যচিত্র ‘সুকুমার রায়’। প্রযোজনা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
১৯৯০:
‘গণশত্রু’ মুক্তি পেল কলকাতায় ১৯ জানুয়ারি। ‘শাখাপ্রশাখা’-র কাজ শেষ করলেন। ভারতে প্রথম প্রদর্শিত দূরদর্শনে ৫ মে।
১৯৯১:
‘আগন্তুক’ নির্মাণ করলেন এন এফ ডি সি-র প্রযোজনায়। মুক্তি ২০ ডিসেম্বর।

ঐ বছরই বেলজিয়াম থেকে ‘সত্যজিৎ রায় অ্যাট সেভেন্টি’ শ্রদ্ধার্ঘ গ্রন্থটি প্রকাশিত।
১৯৯২: ২৭ জানুয়ারি
সোমবার অসুস্থতার জন্য ভর্তি করা হয় বেলভিউ নার্সিংহোমে।
২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।